ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: নিরাপদ আশ্রয়ে ভোলার ৫ শতাধিক পরিবার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: নিরাপদ আশ্রয়ে ভোলার ৫ শতাধিক পরিবার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: নিরাপদ আশ্রয়ে ভোলার ৫ শতাধিক পরিবার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অতি জোয়ারে পানিবন্দি চরাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবারকে রাতেই নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন প্রশাসন ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জেলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকা ও বেড়িবাঁধের বাইরে, দেড় শতাধিক পরিবারকে বেড়ির ওপর স্থানান্তর করা হয়।

এ ছাড়া উপজেলার কাজিরচরের দুই শতাধিক পরিবার সরকারি আশ্রয়ণের কলোনিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। একই সঙ্গে চরনিজামের দেড় শতাধিক পরিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

অপরদিকে রাত ৯টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢালচর থেকে পানিবন্দি ৫০ পরিবারকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড চরমানিকা আউট পোস্ট।

এর আগে বিকালে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও চরকুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন চরপাতিলা থেকে পানিবন্দি আরও ৪০ পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়েছে।

কোস্টগার্ডের চরমানিকা আউট পোস্ট কন্টিনজেন্ট কমান্ডার চিফ পেটি অফিসার জমিরউদ্দিন বলেন, আবহাওয়া ক্রমেই খারাপ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতেই ঢালচর থেকে ৫০ পরিবারকে উদ্ধার করে চরমানিকার কচ্ছপিয়া ঘাটে নিয়ে আসি।

পরে তারা নিজেদের ইচ্ছায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামিম মিঞা জানান, বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মনপুরার হাজিরহাট লঞ্চঘাট-বেড়িবাঁধ, কাজিরচর ও চরনিজাম থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন